শফিকুল ইসলাম মাসুদ

গণহত্যাকারীর লকডাউন কার্যকর হতে দেয়া হবে না

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন কার্যকর হতে দেবেন না এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ উন্নয়নের পথে।

‎গোলাম কিবরিয়া, ‎পটুয়াখালী

Location :

Patuakhali
বক্তব্য রাখছেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
বক্তব্য রাখছেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে কার্যকর হতে দেয়া হবে না। তারা লকডাউন দিয়েছিল, আমরা লকআপ করে লকওপেন করে দিয়েছি।’

তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতার দুয়ার খুলে গেছে, তা আর কোনো ফ্যাসিস্টের ডাকে বন্ধ করা যাবে না। দেশ এখন উন্নয়নের পথে ধাবিত হচ্ছে। দেশপ্রেমিক জনগণই বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।’

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভায় গণসংযোগকালে কাগুজিরপুল এলাকায় এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেমন দেশ ও জাতির শত্রু, তেমনি আওয়ামী লীগেরও শত্রু। নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে নিজের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও কয়েকটি সুটকেস নিয়ে পালিয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিটও টিকতে পারেনি। অথচ আমরা ১৫ বছর ধরে জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও দেশ ত্যাগ করিনি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা পালাতে পারেনি তাদের এখন রাস্তায় নামিয়ে মার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মামা বাড়ি বসে নির্দেশ দেবেন, আর নেতাকর্মীরা রাস্তায় মার খাবে- এটা হতে পারে না। আওয়ামী লীগের কর্মীরাই একদিন শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবি করবে।’

ড. মাসুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ এখন জেগে উঠেছে। যদি আবারো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়, দেশবাসী তা প্রতিরোধ করবে।’

উন্নত বাউফল গঠনের আহ্বান জানিয়ে ড. মাসুদ বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ দল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা জনগণের পাশে থেকেছি- বৃষ্টির সময় ছাতা, শীতে বস্ত্র, সেলাই মেশিন ও অসহায়দের ঘর নির্মাণে সহায়তা দিয়েছি। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছি। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি রোধে ২০২৬ সালের ব্যালটই হবে জনগণের জবাব।’

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো: ইসহাক মিয়া, নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী আবদুল দাইয়ান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রিদওয়ানুল্লাহ মাস্টার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: লিমন হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।