উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিভিন্ন স্থানে বহাল তবিয়তে ঝুলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচার উপকরণ অপসারণের কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি, ভবনের দেয়ালে এখনো সারি সারি ঝুলছে পোস্টার, ব্যানার।
সরেজমিনে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত উজিরপুর উপজেলার হারতা, সাতলা, শোলক, বামরাইল সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ তৎপরতা দেখা যায়নি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। উপজেলার কিছু এলাকায় ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হলেও বেশির ভাগ জায়গায় নির্দেশনার কার্যকর বাস্তবায়ন হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করতে হবে।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলী সুজা বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এগুলো সরিয়ে ফেলবেন।
এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এ মুহূর্তে তো কেউ প্রার্থী হয়নি। সবাই সম্ভাব্য প্রার্থী। এ মুহূর্তে এটা বলাটা খুব কঠিন। কারণ এখন পর্যন্ত তারা প্রার্থী হননি। প্রার্থী যখন হবেন তখনই হয়তো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপাতত সরিয়ে দেবো, সরানোর জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীর প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি।
বরিশাল-২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাস্টার আব্দুল মান্নান বলেন, আরপিও অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবাই নিজ দায়িত্বে প্রচার উপকরণ সরিয়ে নিন।
উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বলেন, ‘ব্যানার পোস্টার আমরা সব সময় নিরুৎসাহিত করি। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধির দিকে নজর রাখব। আমরা সব ব্যানার ৪৮ ঘণ্টার আগে সরিয়ে নিয়েছি।’



