বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রতিবেশীর পুকুর থেকে সাব্বির হাওলাদার (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাব্বির হাওলাদার ওই গ্রামের কৃষক ইউনুস হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে সাব্বির নিজেদের জমিতে পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি সেচ দিতে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পায় পরিবার। সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে জুতা পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
পরিবারের দাবি, প্রতিবেশী একটি পক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সাব্বিরের পরিবারের বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জের ধরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ওই যুবকের মাথার পেছনে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পরিবার আরো জানায়, গত ৫ আগস্টের পর সাব্বিরের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। সেই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে হাত ও পা ভেঙে দেয়। ওই ঘটনার পর পরিবারটি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শামিনুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে প্রকৃত কারণ জানার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানসাগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: মহিউদ্দিন বাদল বলেন, ‘সাব্বির হাওলাদারকে হত্যা করা হয়েছে না দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তা নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো নিরীহ লোক হয়রানির শিকার না হন সেই ব্যাপারে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাই।’



