খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। সামান্য বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় নাজিরহাট থেকে রামগড় ৩৩ কেভি লাইনে ফল্ট দেখা দেয়ার পর থেকেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রামগড় পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎবিচ্চিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে রাত পার করছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
রোববার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও বিদ্যুৎ ফিরে আসেনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুতের এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত তিন দিনে থেমে থেমে তিন থেকে চার ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ ছিল।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও প্রায় অকার্যকর। ফলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রান্নার জন্য পানি নেই, ট্যাংকে পানি ওঠানো যাচ্ছে না। নানা সমস্যায় ভুগছেনে এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই আধুনিক যুগে এসে তিন রাত চার দিন বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা অকল্পনীয়। বিদ্যুৎ না থাকলে কীভাবে চলব? মোবাইলে চার্জ নেই, ইন্টারনেট নেই। সন্ধ্যার পর কিছুই দেখা যায় না।’
বিদ্যুৎ বিভাগের রামগড় কার্যালয় জানিয়েছে, ‘নাজিরহাট থেকে রামগড় ৩৩ কেভি লাইনে ফল্ট হয়েছে। সেই সাথে গুইমারা থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, কারিগরি টিম কাজ করছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘এই সমস্যাটি নতুন নয়। বর্ষা এলেই একটু বৃষ্টি বা দমকা হাওয়ায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তা মেরামত করতেও কয়েকদিন পার হয়ে যায়। গত চার দিনে থেমে থেমে তিন থেকে চার ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ ছিল। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। টানা তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে।
রামগড় পৌর এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, ‘কথায় কথায় লোডশেডিং। তার ওপর সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ। অথচ পাশের বাগানবাজার ইউনিয়নে এমন সমস্যা হয় না। ফ্রিজে লাখ টাকার আইসক্রিম, দধি সংরক্ষিত আছে। এভাবে চলতে থাকলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।’
স্থানীয় এক মুরগির খামারি বলেন, ‘ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। মুরগির বাচ্চাগুলোকে নিয়ে চিন্তিত। এভাবে চলতে থাকলে মুরগির বাচ্চাও বাঁচানো যাবে না।’
ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যবসা চালানো যায় না। ফ্রিজ বন্ধ, ইন্টারনেট নেই। চার দিন ধরে বসে আছি। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক মোটর বন্ধ থাকায় বাড়ির ট্যাংকে পানি ওঠানো যাচ্ছে না। অনেক পরিবারকে কলসি আর বালতিতে পানি আনতে দেখা গেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ করতে আমরা কাজ করছি।