নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় জুয়ার আসর থেকে লাখ টাকা লুটের অভিযোগে ভুক্তভোগী কর্তৃক পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জুয়া খেলার অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাতে উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামের আবুল কাশেম(৫০), অলি(৪১), হায়দার মিয়া(৪৮), আটাশিয়া গ্রামের জজ মিয়া(৪২) ও মহেশ্বরখিলা গ্রামের সাফায়েত হোসেনকে(২৮) আটক করে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় পুলিশ। পরদিন লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ১৪৯০ টাকা জুয়ারিদের নিকট থেকে উদ্ধার দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে আটকদের সোপর্দ করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তাস খেলার সময় থানার এসআই আল-মামুন ও এএসআই মশিউর রহমান সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে খেলারত পাঁচজনকে আটক করে তাদের কাছে রক্ষিত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীরা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী হায়দার জানান, আমি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ করি। ওই দিন আমার কাছে মাটি কাটার সাড়ে ৩৩ হাজার টাকা ছিল। অন্যদের কাছেও টাকা ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় লাখ টাকা পুলিশ ছিনিয়ে নেয়। আমরা আপত্তি জানালে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। অন্যথায় কঠিন মামলা দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার কাছে ব্যবসার সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিল। তা কেড়ে নিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে বলা হয় ভিডিও করার সময় যা বলে দিয়েছি তা বলবি নয়তো মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলবো। এই বলে ১৪৯০ টাকা উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়।’
এ বিষয়ে এসআই মামুন ও এএসআই মশিউর রহমান সুজন বলেন, ‘আমাদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা জুয়ার আসর থেকে যে টাকা উদ্ধার করেছি তাই জমা দিয়েছি।’
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।