জামালপুর সদর উপজেলায় মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) নামে এক মা ছেলের হাতে খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের হাটচন্দ্রা রেলঘুন্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) ওই এলাকার মো: কামরুল ইসলাম কামুর (তালাকপ্রাপ্তা) স্ত্রী।
অভিযুক্ত ঘাতক মো: মঞ্জুরুল মঞ্জু (৪০) জিরা বেগমের আগের সংসারের ছেলে।
জানা যায়, টাকার অভাবে বাড়ির উঠানের একটি গাছ বিক্রি করেছিলেন মা মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫)। মঙ্গলবার সকালে গাছটি কাটতে আসেন কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মো: মঞ্জুরুল (৪০) বৃদ্ধ মা মঞ্জিলা বেগম জিরাকে বটি-দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এতে ঘটনাস্থলেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মমতাময়ী এই মা। এ সময় মঞ্জুরুল গাছের ক্রেতা গাছ কাটতে আসা কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার পর পরি দ্রুত পালিয়ে যায় ঘাতক মঞ্জু। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মঞ্জিলা বেগম ওই এলাকার মো: কামরুল ইসলাম কামুর (তালাকপ্রাপ্তা) স্ত্রী।
অভিযুক্ত মঞ্জু তার আগের স্বামী ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা মো: তোতা মিয়ার সংসারের ছেলে। নিহত মঞ্জিলা বেগমের সাথে তোতা মিয়ার প্রায় ৩০ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অপর দিকে আহত কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ (৪৫) মেলান্দহ উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টাকার অভাবে বাড়ির উঠানে ‘লম্বু’ নামে একটি গাছ বিক্রি করেন মা মঞ্জিলা বেগম। মঙ্গলবার সকালে গাছটি কাটতে আসেন কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ। এসময় গাছ কাটতে বাধা দেয় ছেলে মঞ্জু। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে গাছ কাঠ ব্যবসায়ীর পেটে আঘাত করে মঞ্জু। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মা মঞ্জিলা বেগম। এসময় মাকেও চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করার পরে দৌড়ে গিয়ে ঘর থেকে বটি-দা নিয়ে এসে মাকে জবাই করে হত্যা করে। আর ঘটনাস্থলে মারা যান জন্মদুঃখিনী মা মঞ্জিলা বেগম। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘাতক মঞ্জু দ্রুত পালিয়ে যায়। এদিকে গুরুতর আহত কাঠ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা ।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া খান মামুন সাংবাদিকদের জানান, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মা হত্যাকারী ঘাতক মঞ্জুকে আটকের জন্য অভিযানে নেমেছে পুলিশ।’