বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এ্যানি

ভবিষ্যত রাজনীতি এক ব্যক্তি বা দলের হাতে থাকবে না

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এ প্রস্তাব তারেক রহমান এমনভাবে দিয়েছেন, যেন ভবিষ্যৎ রাজনীতি এক ব্যক্তি বা দলের হাতে না থাকে।’

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে বক্তব্য দিচ্ছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
নীলফামারীতে বক্তব্য দিচ্ছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি |নয়া দিগন্ত

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘বাস্তবিক পক্ষে তারেক রহমানের সংস্কার প্রস্তাব সমাজে সমাদৃত হয়েছে। জনগণ গ্রহণ করেছে, সরকার গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এ প্রস্তাব উনি এমনভাবে দিয়েছেন যেন ভবিষ্যৎ রাজনীতি এক ব্যক্তি বা দলের হাতে না থাকে।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নীলফামারী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ৩১ দফা ও জন সম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা যারা শরিক হয়েছি, যুগপৎ আন্দোলন করেছি সবাই মিলে যদি আমরা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করি, তাহলে আমাদের এ দেশে একটা স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ আসবে। স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে তৈরি হবে। আওয়ামী লীগ কখনো স্বাভাবিক রাজীনীতি করেনি। সমাজ গড়ে ওঠবে সেটা চিন্তা করেনি। স্বাধীনতার পরে আমরা দেখেছি রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার। দুর্নীতি দুঃশাসন ছিল আকাশচুম্বী।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে এ্যানি বলেন,‘তাদের রাজনীতিতে ভুল শুধরে নিয়ে কখনো নতুন আলোকে আসবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তারা রাজনীতি করবে। তাদের আচরণে, তাদের দলের কোনো কাজে, তাদের নেতার কোনো নেতৃত্বে আমরা সেটি লক্ষ্য করি নাই। যিনি তাদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এই ফ্যাসিবাদ ভোটে কখনো নির্বাচিত হতে পারে নাই। ভোট ছাড়াই একদলীয় শাসন, একব্যক্তির শাসন কায়েম করেছিল।’

তারেক রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ রূপে এমনভাবে মানুষকে জিম্মি করেছিল যেখানে কথা বলার সুযোগ ছিল না। আর আমরা কথা বলতে পারি নাই বলেই আন্দোলনকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তারেক রহমান দেশের বাইরে ছিলেন। দেশের বাইরে থেকেও তিনি সমগ্র জাতিকে, পুরো বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে এমন একটা আন্দোলন তৈরি করেছিলেন। যে আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

কর্মশালায় জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবি উল্লাহ, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী বক্তৃতা দেন।