মালয়েশিয়ায় অতিবৃষ্টির কারণে হঠাৎ করেই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে দেশটির পাহাড়ি নিচু সমতল এলাকায়। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন টানা বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এ সময় বন্যার পানি দেশটিতে বাংলাদেশী সবজির বাগানে পানি উঠে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন সবজি চাষিরা। ফলে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ে সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।
গত নভেম্বরের ২০ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পানির কারণে এ আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে দেশটির কুয়ালালামপুর, শাহআলম, কেলাং, পানচাক আলম, রাওয়াং, সিকিনচান, কুয়ালা সেলাঙ্গর রাজ্যসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য।
ফলে পানি বন্দী হয়ে পড়েন হাজার হাজার বাসিন্দা। সরকার এ সময় খাবার বিতরণসহ উদ্ধার তৎপরতা চালায়। বন্যার পানি এসব এলাকার বাংলাদেশী সবজি বাগানগুলোতে উঠে যায় এবং পাঁচ থেকে ছয় দিন স্থায়ী হওয়ায় বাগানের সবজির গাছ মরে যায়।
দেশটিতে প্রায় দেড় মিলিয়ন বাংলাদেশীর বসবাস। তাদের সবজির যোগান দেয় এসব হাজার হাজার বাংলাদেশী সবজির বাগানগুলো। এ সময় বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তবে বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে খামারি ও ভোক্তাদের মাঝে। বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে রোদ ওঠায় সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।
তবে যেসব এলাকা নিচু সেসব এলাকায় পানি উঠলেও উঁচস্থানের সবজির খামারে পানি না উঠায় সেসব চাষিরা ক্ষতি গ্রস্থ হননি। অপেক্ষাকৃত নিচু জমির সবজির খামারে পানি ওঠায় অনেক গাছ মরে যায়। চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব মরা গাছ পরিষ্কার করে নতুন করে চাষ করে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এসব বাংলাদেশী প্রবাসী চাষিরা ব্যক্তিগত উদ্যেগে চাষবাস করায় সরকার বা সংশ্লিষ্ট কোনো মাধ্যমে থেকে ক্ষতিপূরণ পাননি। তবুও তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আশাবাদী।



