সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী

কলকাতায় আওয়ামী লীগ অফিস খুলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

‘এখন আর মাঠে আওয়ামী লীগ নেই, তারা বিএনপিকে ঘুষ দিয়ে এখন বিএনপি হয়ে গেছে। বিএনপি একটা বিশাল দল আমাদের মনও বিশাল। তাই ‎বিএনপি’র মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোনাফেক চাঁদাবাজ ও দখলদারদের চিহ্নিত করে রাখুন।’

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Patuakhali
মির্জাগঞ্জে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী
মির্জাগঞ্জে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে কলকাতায় একটি অফিস দিয়েছে ভারত সরকার। সেখানে বসে তারা বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপি’র যৌথ আয়োজনে গাবুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পথসভাটি নেতাকর্মীদের মিছিলে মিছিলে এক জনসভায় রুপান্তরিত হয়।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার (আপনারা) যে অন্যায় অত্যাচার করেছেন, যুদ্ধের সময় যা না করা হয় তাও করেছেন। হেলিকপ্টার দিয়ে আমাদের ওপর গুলি করেছেন। আমাদের দুইশত সন্তানকে আপনারা হত্যা ও ৩০ হাজার সন্তানকে আপনারা আহত করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। কথাটা আপনারাও মনে রাখবেন আমরাও মনে রাখবো। আল্লাহ তা’য়ালা ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না। তাই যদি হতো তাহলে ১৫ বছর পরে শেখ হাসিনা লেস গুটিয়ে পালাবে কেন। পৃথিবীতে সরকার পালানোর ইতিহাস অনেক। তবে বাংলাদেশের মতো এরকমের নজির কোন দেশে নেই। সরকার প্রধান পালানোর সাথে সাথে স্পিকার পালিয়েছে, ৩০০ এমপি পালিয়েছে, এমনকি মসজিদের ইমাম পালিয়েছে।’

‎তিনি বলেন, ‘এখন আর মাঠে আওয়ামী লীগ নেই, তারা বিএনপিকে ঘুষ দিয়ে এখন বিএনপি হয়ে গেছে। বিএনপি একটা বিশাল দল আমাদের মনও বিশাল। তাই ‎বিএনপি’র মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোনাফেক চাঁদাবাজ ও দখলদারদের চিহ্নিত করে রাখুন। আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছরের যে কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা র-এর অ্যাজেন্টরা সেই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে, তারা দুষ্কৃতিকারী তাদেরও এই মাটিতে বিচার হবে।’

‎তিনি আরো বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। সেখানে বসে এমন কোনো প্রস্তাব নেই যে দেয়া হয়নি। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেও তারা নিতে পারেনি। আগামী ১০০ বছরেও তারা বিএনপির কিছুই করতে পারবে না। স্থানীয় অনেক বিএনপির নেতারা ফ্যাসিসদের সাথে ভারত গিয়েছে। তাদের আসতে কোনো বাধা নেই। তবে তাদেরকে গো-মূত্র খাইয়ে পরিশুদ্ধ করা হবে। বিএনপিতে ৩০০ আসনে ১৮০০ প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী বাছাইয়ে কখনো ভুল করেনি, আগামীতেও ভুল করবে না।

‎কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো: গাজী রাসেদ সামস্ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি জাফর ইমাম শিকদার।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: বাইজিদ আহমেদ মাকসুদ পান্না, পটুয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: মোহসীন উদ্দিন, ‎উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম খোকন,‎ মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: মোজ্জামেল হোসেন, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো: ‎আবদুর রহিম চান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: রফিকুল ইসলাম ও ‎উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক মো: আবুল বাসার মোকলেচ প্রমূখ।

এর আগে জুম্মাবাদ সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফ জামে মসজিদে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হন।