চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভয়াবহ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত আকিব (১৭) নামে আরো এক শ্রমিক মারা গেছে। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত ১০ জনের মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। অবশিষ্ট তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত আকিব উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ পদ্দাডেবা এলাকার মোহাম্মদ আমিনের ছেলে।
বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চন্দনাইশ মানবিক টিমের প্রধান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী।
জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া সীমান্তের দ্বীপ চরতী সর্বির চর নির্জন এলাকায় অবৈধ গ্যাস ক্রসফিলিং করার সময় গুদামে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং গুদামটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। এ সময় গুদামের মালিকসহ অবস্থানকারী ১০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে স্থানীয়রা গুরুতর আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এর দু’দিন পর বাকি ছয়জনকেও ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মারা যান ওই গুদামের দুই শ্রমিক ইদ্রিস (২৬) ও ইউসুফ (৩০)। পরে গত সোমবার ভোররাতে মারা যায় ওই গুদামের মালিক দগ্ধ মাহাবুবুল আলম (৪৭)। একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান শ্রমিক মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)। পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময় মারা যান শ্রমিক মোহাম্মদ হারেছ প্রকাশ হারুন (২২)। সর্বশেষ আজ বিকেলে মারা যান শ্রমিক মোহাম্মদ আকিব (১৭)।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- মোহাম্মদ কফিল (২২), মো: সৌরভ রহমান (২৫) ও মোহাম্মদ লিটন (২৮)।