গাইবান্ধায় শেখ হাসিনার বাসার কাজের বুয়া এমপি মাহবুব আরা বেগম গিনিসহ ৮৫ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো: বায়োজিদ বোস্তামি জীম গাইবান্ধা সদর থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের ৮৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সাবেক হুইপ মাহবুব আরা বেগম, গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি আবুল কামাল আজাদ, গাইবান্ধা সদর আসনে সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির, সুন্দরগঞ্জের সাবেক এমপি নাহিদ নিগার, পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনের সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুজ্জামান রিংকু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ মাসুম জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ ইকবাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জুসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মী।
এজাহারে ভুক্তভোগী বায়োজিদ বোস্তামি জীম অভিযোগে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে তাকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ৪ আগস্ট বেলা ২টার দিকে বায়োজিদকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে মারধর করা হয়। এসময় ৭০-৭৫টি রাবার বুলেট দিয়ে তার শরীরে গুলি ছোড়া হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে। হামলার পর হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী মো: মাসুদ মিয়া ও মো: জাহিদ হাসান জীবনের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো: বায়োজিদ বোস্তামি জীম আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি করেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম তালুকদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’