আনোয়ারায় সাঙ্গু নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যেই বাণিজ্যিকভাবে তুলা হচ্ছে এসব বালু। পরে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি সিন্ডিকেট।

মো: নূরুল কবির, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

Location :

Chattogram
নদী থেকে তুলা হচ্ছে বালু
নদী থেকে তুলা হচ্ছে বালু |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রাম আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নে সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধসহ ফসলি জমি। প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যেই বাণিজ্যিকভাবে তুলা হচ্ছে এসব বালু। পরে তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি সিন্ডিকেট। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাঙ্গু নদীর তিনমুখ এলাকা ও আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যেই বালু তুলে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার সময় মিলিয়ে প্রতিটি ড্রেজার দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার বালু উত্তোলন করে থাকে।

নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের অভিযোগ, অব্যাহত এ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর ধসে পড়ছে। ফলে ফসলি জমি ও বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। তবুও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয়রা অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে নদী তীরবর্তী এলাকা ও বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

হাইলধর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাকিম জানান, ‘বালু ব্যবসায়ীরা দেদারসে ব্যবসা করে গেলেও প্রতিবাদ করতে পারছে না কেউ। কারণ বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতিসহ মামলা দেয়ারও হুমকি দেয়। আমাদের চোখের সামনে নদী ধসে যাচ্ছে, জমি হারিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। প্রশাসনকে বহুবার জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করে উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে ‘