নাটোরের সিংড়ায় পাখি বিক্রয়ের অপরাধে হাজামুত আলী (৫৫) ও সাব্বির হোসেন (২২) নামের দুই পেশাদার শিকারিকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পাখি বিক্রেতাদের কাছ থেকে জবাই করা ৫১টি বকপাখি উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়া হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় সিংড়ার ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা পার্শ্ববর্তী তাড়াশ থানার পলাশি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোর রাতে সলঙ্গা এলাকায় ধানক্ষেতে পাখি শিকারের বিশেষ কিল্লা ঘরের ফাঁদ পেতে পাখিগুলো শিকার করা হয়। পরে জবাই করে সিংড়ার গোডাউনপাড়া বাড়ি বাড়ি বিক্রয়ের সময় তদেরকে হাতে-নাতে আটক করে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শেষে চলনবিলে লাখ লাখ পাখির আগমন ঘটে। এ সময় এক শ্রেণির লোভি শিকারিরা রাতের আঁধারে পাখি শিকারে নেমে পড়েন। বুধবার দুপুরে জবাইকৃত বস্তা ভর্তি বকপাখি সিংড়া পৌরসভার গোডাউনপাড়ায় বাড়ি বাড়ি বিক্রয় হচ্ছে খবর পেয়ে সংগঠনের সদস্যরা দুই পাখি বিক্রেতাসহ বস্তা ভর্তি বকপাখি উদ্ধার করে প্রশাসনকে খবর দেন। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ইসাহক আহমেদ, মহসিন আলম, দফতর সম্পাদক অনিক আহমেদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রিপন হোসেন প্রমুখ।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, বিলের পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে দীর্ঘ এক যুগ ধরে তারা দুর্গম বিলে ছুটে যাচ্ছেন। বিল পাড়ের মানুষদের সচেতন করছেন। পাশাপাশি পেশাদার শিকারিদের প্রশাসনের মাধ্যমে সাজার আওতায় আনছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিলের পাখি রক্ষায় চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’



