সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগ আর প্রদক্ষেপে বন্ধ হয়েছে চিলাই নদীর বালু লুট।
গত ৫ আগস্টের পর দেশব্যাপী বিরাজ করা অস্থিতিশীলতা আর প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সুযোগে উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহমান চিলাই নদীর বালু লুট শুরু করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকার ভাঙন বাড়তে থাকে। স্থানীয়রা নিষেধ করেও এ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ আর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হকের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আর বিশেষ প্রদক্ষেপে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বালু লুট।
জানা যায়, প্রশাসনের রাতভর পরিচালিত অভিযান,মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং চিলাই নদীর প্রবেশ মুখে বাঁশের ব্যারিকেড স্থাপনে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বালু লুট। এতে স্বস্তি ফিরেছে এলাকাজুড়ে।
থানা পুলিশের তথ্য মতে, এই পর্যন্ত চিলাই নদীতে বালু উত্তোলনকালে ১০টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা, ১টি স্টিলবডিসহ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক জানান, শুধু চিলাই নদী নয়। উপজেলার সর্বত্র অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে থানা পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই। উপজেলা প্রশাসন সবসময় সজাগ আছে। রাত জেগে পুলিশ পাহারা দেয়া হচ্ছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিলা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে বাঁশের ব্যারিকেড স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি নৌকা ও পিকআপ গাড়ি আটক করা হয়েছে। এলাকা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।’



