কুমারখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আপন দুই ভাইসহ নিহত ৩

শনিবার সুমন ও রিমনের বোনের শাশুড়ি মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে তারা দু’ ভাই রাতে একই এলাকার ছেলে পাঠাও চালক আশিকের সাথে মোটরসাইকেলে করে কুমারখালীর উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে ফরিদপুরের ভাঙায় পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা

Location :

Kumarkhali
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একই গ্রামের তিনজন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একই গ্রামের তিনজন |নয়া দিগন্ত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বোনের শাশুড়ির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আপন দুই ভাই ও প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তারা নিহত হন।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদকী মহম্মদপুর এলাকায় একই কবরস্থানে পাশাপাশি তিনজনকে কবরস্থ করা হয়।

নিহত তিনজন হলেন— সদকী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ফার্নিচার মিস্ত্রি সুমন (২৫) ও রিমন (১৮) এবং শাহিনের ছেলে পাঠাও চালক আশিক (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সুমন ও রিমনের বোনের শাশুড়ি মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে তারা দু’ ভাই রাতে একই এলাকার ছেলে পাঠাও চালক আশিকের সাথে মোটরসাইকেলে করে কুমারখালীর উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।

পরে রাত ৩টার দিকে স্থানীয়রা নিহতদের পরিবারকে সংবাদ দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনগত জটিলতা শেষে রোববার দুপুরে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে জানাজা শেষে সদকী মহম্মদপুর কবরস্থানে তিনজনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুমারখালীর একই গ্রামের তিনজন নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের লাশ কুমারখালীতে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।