নোয়াখালীর মাইজদীতে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে আতিকুল ইসলাম তিতাস (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মাইজদী শহরের বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের বহুতল ভবনের ছাদে এই ঘটনা ঘটে।
বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
জেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার শহীদ চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল গনির ছেলে আতিকুল ইসলাম তিতাস (২৫)। তারা গত ২০-২৫ বছর ধরে নোয়াখালী মাইজদীর আক্তার ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তিতাস নোয়াখালী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুরের দিকে মাইজদী শহরের বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের বহুতল ভবনের ছাদে কে বা কারা তিতাসকে বেধড়ক নির্যাতন করে নিচে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম হত্যার অভিযোগ করে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে চলে আসি। তিতাসের হাত ভাঙ্গা, পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় কাটা আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এই সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।’
সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) আবু তাহের বলেন, ‘ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে কিনা তাই খতিয়ে দেখছি।’