সলংগায় জামায়াতের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা মুক্ত ১৪০০ মিটার রাস্তা

‘দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে জামায়াত যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসার দাবিদার। এভাবে যদি প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়াত, তবে দেশের চিত্র বদলে যেত।’

Location :

Ullahpara
সলংগায় জামায়াতের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা মুক্ত ১৪০০ মিটার রাস্তা
সলংগায় জামায়াতের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা মুক্ত ১৪০০ মিটার রাস্তা |নয়া দিগন্ত

মো: জাকিরুল হাসান, উল্লাপড়া (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলংগা ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ অবসান ঘটিয়ে সলঙ্গা থানা জামায়াতে ইসলামী একটি গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কাজ শেষ করেছে। ইউনিয়নের শরিফ সলংগা গ্রামের দিঘর মাদ্রাসা থেকে ঈদগাঁ মাঠ পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ মিটার রাস্তার বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হতো। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীবাহী যানবাহন এবং শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সলংগা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে, অর্থায়নে এবং সরাসরি তত্ত্বাবধানে রাস্তার মাঝ বরাবর ইট, বালু, খোয়া ফেলে রাস্তা সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সলংগা থানা আমির মো: রাশেদুল ইসলাম শহিদ, ইউনিয়ন আমির মাওলানা কে এম হারুনর রশীদ, চার নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সকল স্তরের দায়িত্বশীল নেতারা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

থানা আমির মো: রাশেদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা রাজনীতিকে জনসেবার মাধ্যম হিসেবেই দেখতে চাই।’

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এই উদ্যোগ তাদের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন,‘দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে জামায়াত যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসার দাবিদার। এভাবে যদি প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়াত, তবে দেশের চিত্র বদলে যেত।’

এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজের সাথে যুক্ত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। এতে একদিকে যেমন দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে, তেমনি গড়ে ওঠেছে সামাজিক সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ।

জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট নেতারা জানিয়েছেন, এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।