চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনের সাথে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিকীর সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হলে তা হবে এ গণঅভ্যুত্থানের সাথে প্রতারণা করা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সোমবার (৬ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমলার দিঘি এলাকায় নদী ভাঙ্গনকবলিত সীবিচ এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এক জনসমাবেশে একথা বলেন।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকী রাশিয়ার সাথে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তির নামে এদেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। তার ও তার মা শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার সরাসরি ইন্দনে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। সেই টিউলিপ সিদ্দিকীর সাথে যদি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস দেখা করেন তা কখনো এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন কিন্তু একটি পক্ষ তার আগেই নির্বাচন চায়। তারা পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের মতো খাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা চাই নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
হাতিয়ার অন্যতম পর্যটন এলাকা কমলার দিঘি সীবিচ ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে অনেকদিন থেকে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল হান্নান মাসুদ জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করেন। তার তদারকিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে এ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার অনুমোদন দেয়। ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে।
জিও ব্যাগ ফেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মফিজুর রহমান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন এ. গনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শামছুদ্দিন তিব্রীজ, চরইশ্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আকবর হোসেন, রাজ্জাকিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজমির হোসেন প্রমুখ।
জিও ব্যাগ ফেলানো উদ্বোধন উপলক্ষে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ সমবেত হয়।
এ সময় তিনি উপস্থিত জনতাকে আশস্ত করেছেন যে, দীর্ঘদিনের দাবি নদী ভাঙন রোধের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই তিনি বাস্তবায়ন করবেন।