কমিটি ঘোষণার এক দিন পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মেহেদী পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নিজ ফেসবুক আইডিতে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করেন।
আব্দুর রহমান মেহেদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
আব্দুর রহমান মেহেদী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি মনে করি ২৪-এর জুলাই এ সংগঠনটি সফল হয়েছিল আপামর সকল ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিত্ব করতে। কিন্তু বর্তমানে আমরা সাধারণ ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়েছি। সাধারণ ছাত্র ও জুলাই আন্দোলনে রক্ত দেয়া যোগ্য ছাত্রদের চেয়ে সুবিধাভোগী নব্য সমন্বয়ক আর ত্রাস সৃষ্টিকারীদেরই প্রভাব এখানে বেশি। এটার দায় আমারও আছে। আমরা পারিনি সংগঠনকে এসব পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে। তাই আমি আপাতত এ সংগঠনের সকল পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি, পদত্যাগ করছি।’
তিনি লেখেন, ‘তবে হ্যাঁ, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সকলের সাথেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আপাতত চলে যাচ্ছি কোনো সংগঠনহীন সাধারণ ছাত্র-জনতার কাতারে। সময় দিতে চাই পরিবার ও কর্মজীবনে। আর আমি চাই সকল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমার কার্যক্রম ও সম্পদের সঠিক তদন্ত করে তা প্রকাশ করুক। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।‘
জুলাইযোদ্ধা আব্দুর রহমান মেহেদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩০০ শতাধিক ছররা গুলিবিদ্ধ হয়। এখনো দেড় শতাধিক গুলি শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি গত ২৬ নভেম্বর রাতে সংগঠনটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। ছয় মাস মেয়াদি এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম।
কমিটিতে আহ্বায়ক মিনহাজুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাফায়াত উল্লাহ ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মেহেদীর নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আল আমিন মন্ডল, মুখ্য সংগঠক তুহিন মোল্যা ও মুখপাত্র নুসরাত জাহান দৃষ্টি।



