আমি পরীক্ষিত সৈনিক : শাহজালাল চৌধুরী

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সিনিয়র দায়িত্বশীল, সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজালাল চৌধুরী আবারো নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)

Location :

Ukhia
আমি পরীক্ষিত সৈনিক : শাহজালাল চৌধুরী
আমি পরীক্ষিত সৈনিক : শাহজালাল চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সিনিয়র দায়িত্বশীল, সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজালাল চৌধুরী আবারো নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।

তিনি সোজাসাপ্টা ঘোষণা দেন—আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা যদি দুর্বল হয়ে পড়েন, তিনি একাই দাঁড়িপাল্লা মার্কার সমর্থনে মাঠে থাকবেন। তার ভাষায়, ‘আমি পরীক্ষিত সৈনিক। প্রয়োজনে একাই লড়ব, ইনশাআল্লাহ।’

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উখিয়ার ৭১ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত উখিয়া–টেকনাফ অঞ্চলের জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দায়িত্বশীল প্রোগ্রামে দাঁড়িয়ে তিনি যেভাবে কথা বললেন—তা উপস্থিত সবার মধ্যে একধরনের তীব্র উদ্দীপনা তৈরি করে।

ঘটনার পেছনে রয়েছে আরো গুরুত্বপূর্ণ এক বাস্তবতা। বহু বছর আগে তিনি নিজ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধেও দলীয় সিদ্ধান্তে আপোসহীন থাকায় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও চিত্রটা মিলছে। উখিয়া–টেকনাফ আসনে জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী প্রার্থী হিসেবে মাঠে, আর অন্যদিকে একই আসন থেকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন তার বড় ভাই—কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। দুই ভাই—দুই রাজনৈতিক অবস্থান। তবু শাহজালালের কথা স্পষ্ট, তিনি দলের পক্ষেই থাকবেন, সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না।

প্রোগ্রামস্থলে তার এই দৃঢ় অবস্থান ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের চাঙাভাব ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ এটিকে উখিয়া–টেকনাফের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী নির্বাচনের নানা হিসাব নতুন করে সাজানোর ইঙ্গিত বলেও দেখছেন। দলের ভেতর তিনি ‘পরীক্ষিত নেতার’ পরিচয়ে যে প্রভাব রাখেন, সেটিও নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

শাহজালাল চৌধুরীর সাহসী বক্তব্য—সংগঠন, প্রার্থী ও মাঠের লড়াই—তিন দিকেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সামনে নির্বাচন যতই ঘনাবে, এই ঘোষণার তাৎপর্য ততই বড় হয়ে দেখা দেবে বলে দলীয় সূত্রের অভিমত।