পঞ্চগড়ে মৃদ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। সেই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ ভাগ। এছাড়া প্রতি ঘণ্টায় বাতাস বইছে ৭-৮ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত কয়েক দিন ধরে মৃদ শৈত্য প্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড শীতে গরীব-অসহায় ও সাধারণ মানুষজন মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জানা যায়, এখান থেকে হিমালয় অতি কাছে হওয়ায় ঠান্ডার প্রভাব একটু বেশি। প্রতি ক্ষণে সাদা কুয়াশা ও হিম বাতাস বইতে থাকে। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় সাধারণ মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
কয়েক দিন ধরে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার চলছে। ফলে ঘন কুয়াশায় সড়ক- মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। গরীব-অসহায় মানুষজন গাছের পাতা ও খড় কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে রাতের বেলা চট গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছে অনেকে। সবে মিলিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে গরীব অসহায় মানুষ।
এছাড়া বোরোর বীজ তলা, রসুন-পিঁয়াজসহ রবি শস্যে ব্যাপক হারে ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। সন্ধ্যা হলেই হাট বাজারে মানুষজন শূন্য হয়ে যায়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।’
সচেতন মহল মনে করেন, বিভিন্ন এনজিও, শিল্পপতি ও অর্থশালী মানুষজন যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে পঞ্চগড়ের শীতাত্ব মানুষ শীতের কষ্ট থেকে কিছুটা রেহাই পেত।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো: সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো শীতাত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। আরো ৬৫ হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে মৃদ শৈত্য প্রবাহ চলছে। সামনে আরো তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



