হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে আব্দুল কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি কাজী মোজাহিদকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এম শাহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া কাজী মোজাহিদ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার অধিকাংশ লোকজন প্রত্যেক বছর সদরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করেন। সম্প্রতি সৈয়দ আলী ঈদগাহের জায়গা ওয়াকফের কাগজ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। গত (২৮ মার্চ) শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত ঈদগাহে পড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মুরুব্বিয়ানরা সদরঘাট গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে জড়ো হন। জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে মুরুব্বিয়ানরা মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় মসজিদের সামনে কাজী সুন্দর আলীর ছেলে কাজী মোজাহিদ সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২৯ মার্চ নিহত আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী মোছা: মিনা বেগম কাজী মোজাহিদকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর পর আত্মগোপনে চলে যায় মোজাহিদসহ অন্য আসামিরা।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের অভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া চেঙ্গামুড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কাজী মোজাহিদকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামি কাজী মোজাহিদকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।