চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী। এর মধ্যে তিনজন মেয়ে ও দুইজন ছেলে। এর আগে টানা ১০ বছর ধরে বার বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরও সন্তান জন্মদানে ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি।
সোমবার দিবাগত রাতে নগরীর পিপলস হাসপাতালে নবজাতকদের জন্ম দেন তিনি। বর্তমানে নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে শিশুগুলো।
৫ সন্তান জন্মদানকারী ওই নারীর নাম এনি আক্তার। তার স্বামী সাতকানিয়ার একজন ব্যবসায়ী। এই দম্পতি চিকিৎসকের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং অবশেষে সফল হলেন।
রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন সুমি জানান, ইনফার্টিলিটি বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, এমন অনেকে আছেন সন্তানের মা ডাক শুনতে পারেন না। এনি আক্তারও এমনি ছিলেন। যখন আমার কাছে আসে তখন তাদের কান্না, সংসার ভেঙে যাওয়ারও অবস্থা হয়েছিল। আর্থিকভাবে তারা অসচ্ছল। কষ্ট করে চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ শিশুর মধ্যে তিন শিশুর এক কেজি ছয় শ’, এক কেজি পাঁচ শ’, এক কেজি চার রওজন হয়েছে। বাকি দুই কন্যা শিশুর ওজন কিছুটা কম। এক কেজি করে। একসাথে পাঁচ শিশুর জন্ম ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা।
সন্তান জন্মদানকারী মা এনি আক্তার সুস্থ রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
নিম্ন আয়ের পরিবার হওয়ায় সন্তানদের চিকিৎসার খরচ বহন করা কিছুটা চিন্তার কারণ হলেও দীর্ঘ দিন পর একসাথে পাঁচ সন্তানের আগমনে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে শিশুদের জন্ম হলেও বর্তমানে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে শিশুরা। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকতে হবে।



