নওগাঁর রাণীনগরে মাদরাসার মসজিদ (ওয়াক্তিয়া নামাজখানা) থেকে তামিম হোসেন (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কালীগ্রাম ডাকাহার মুন্সিপুর মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া ক্বওমি মাদরাসায় এঘটনা ঘটে।
শিশু তামিম হোসেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার খড়েরবাড়ী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
মাদরাসার হিফয বিভাগের শিক্ষক রিফাত হোসেন জানান, ‘শিশু তামিম হিফয বিভাগে পড়ত। গত ২/৩ দিন ধরে গলায় টনসিলসহ জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে তারা পাশের গ্রামে জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলেও তামিম নামাজে যায়নি। নামাজের পর সবাই মাদরাসায় এসে দুপুরের খাবারের সময় তামিমকে দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে খাবার শেষে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মাদরাসার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ভিতরে আড়ার সাথে গলায় রশির ফাঁস লাগানো মৃত অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। সাথে সাথে রশি কেটে নামানো হয়।
তবে শিশু তামিম আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে এব্যাপারে কোনো ধারণা দিতে পারেননি শিক্ষক রিফাত হোসেন।
মাদরাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র তুষার রানা জানায়, ‘তামিম হোসেন মাদরাসার মধ্যে খুব ট্যালেন্ট ছিল। সবার সাথে হাসি-খুশিভাবেই চলাচল করতো। শুক্রবার মাদরাসা ছুটি থাকায় মাদরাসার অদূরে সবাই ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে তামিমও আমাদের সাথে ছিল। দুপুরে খাবার পর তামিমকে মসজিদের ভিতরে আড়ার সাথে গলায় রশির ফাঁস লাগানো মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া যায়।’
মাদরাসার মুহতামিম রেজুয়ানুল ইসলাম দুলাল জানান, এদিন মাদরাসা ছুটি থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন। নামাজের পর মাদরাসার একজন শিক্ষক তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আসলে কিভাবে কি হয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি।
তবে শিশু তামিমের কোনো অভিভাবকে না পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।