জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঝালকাঠিতে শহীদদের কবরে পুষ্পমাল্য দিয়ে করে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এছাড়া জুলাই শহীদদের স্মরণে ও সম্মুখ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা হয়েছে। অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার আগড়বাড়ি এলাকায় শহীদ মো: কামাল হোসেন সবুজের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান।
এসময় পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, শহীদ মো: কামাল হোসেন সবুজে স্ত্রী সাদিয়া বেগমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একই সময় ঝালকাঠিতে দাফন করা জেলার বিভিন্ন স্থানে নয়জন শহীদের কবরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ঋণ আমরা শোধ করতে পারব না। আমরা সবসময় এদের পরিবারের পাশে রয়েছি। এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এদিন বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জুলাই শহীদদের স্মরণে ও সম্মুখ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: কাওছার হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের আরো অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মন্টু, জেলা জামায়াতে আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ঝালকাঠির আহ্বায়ক হাফেজ মো: আলমগীর হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, এনসিপির আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাইয়ান বিন কামাল, শহীদ নাঈমের বাবা কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জেলার সকল মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার আযোজন করা হয়েছে।