নওগাঁর পোরশা উপজেলার সারাইগাছী এলাকায় একরাতেই সড়কে গাছ ফেলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সারাইগাছী মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে এই ঘটনাগুলো ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রথমে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে। এরপর বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা।
ওই রাতে প্রথম ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সড়কটির বেজোড়া মোড় সংলগ্ন যাত্রী ছাউনি এলাকায়। এর কিছুক্ষণ পরই একই এলাকার ব্রিজের কাছে গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহন আটকে ডাকাতি করা হয়। আবার রাত ৯টার দিকে বেজোড়া মোড় থেকে তারেক জিয়া মোড় সংলগ্ন সড়কে গাছ ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে ডাকাত দল।
রাত ১০টার দিকে ডাকাত দল একই এলাকায় সড়কের পাশের সফিকুল ও রাজিবুলের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার পর বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান। এছাড়াও রাত ১১টার দিকে বেজোড়া মোড় দরগা সংলগ্ন সড়কে ডাকাতদল বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করে ডাকাতি করে। এসব ঘটনায় জনসাধারণ শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, রোববার পোরশা বড় মাঠে ইসলামী সম্মেলনে আসার সময় বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি চালানো হয়েছে। এ সময় প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি ডাকাত দল অংশগ্রহণ করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উল্লেখিত সড়কটিতে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রায়ই ডাকাতি হচ্ছে। অথচ ডাকাতি বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। সড়কটিতে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে থানা পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এ বিষয়ে সাপাহার সার্কেলের এএসপি শ্যামলী বলেন, ‘পুলিশ টহল জোরদার করা হচ্ছে। পোরশায় এ বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করবো এবং জনগণের সাথে সংযোগ রক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিমাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ওই সড়কে ডাকাতির কথা আলোচনা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এতো ডাকাতির ঘটনায় আমি নিজেও উদ্বিগ্ন।’
নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, ‘ওই এলাকায় থানা পুলিশ টহলে থাকে। এরপরও কেন ডাকাতি হচ্ছে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। ডাকাতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



