চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম।
চার বছর আগে উপজেলার বাড়বকুণ্ডের তেলিপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনকে পরকীয়ার ঘটনায় স্ত্রী রিমা আক্তার, প্রেমিক শাহাদাত হোসেন ও প্রেমিকের এক সহযোগী তিনজনে মিলে গলা কেটে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে গুম করার চেষ্টা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- রিমা আক্তার, শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম ও আবদুল কাইয়ুম। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানাসহ তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন হেলাল বলেন, পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্ত্রী রিমা আক্তারসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্য দুই আসামির মধ্যে শাহাদাত হোসেন কাইয়ুমের সাথে রিমা আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। আর আবদুল কাইয়ুম হলো শাহদাত হোসেন কাইয়ুমের বন্ধু।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ডের তেলিপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদিন ওরফে কালা মিয়াকে হত্যা করা হয়। জয়নাল চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে ফলের ব্যবসা করতেন।
শাহাদাত হোসেন ও আবদুল কাইয়ুমের সহযোগিতায় স্ত্রী রিমা আক্তার স্বামী জয়নাল আবেদিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
ঘটনার পরদিন ভোরে পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের চাচাতো ভাই মহিউদ্দিন সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন।
এরপর ১২ এপ্রিল রিমা আক্তার ও শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজনই পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন সীতাকুণ্ড থানার তৎকালীন এসআই সাজিব হোসেন।
২০২৩ সালের ১১ মে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালতে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বাদি ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়।