জনবল ও বিভিন্ন সঙ্কটে জর্জরিত কুমিল্লার মৎস্যবীজ ও রেনু উৎপাদন খামার

‘লোকবলসহ অন্য সঙ্কট নিরসন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

বুড়িচং (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

Location :

Burichong
কুমিল্লায় মৎস্যবীজ ও রেনু উৎপাদন খামারে পরিত্যক্ত ভবন
কুমিল্লায় মৎস্যবীজ ও রেনু উৎপাদন খামারে পরিত্যক্ত ভবন |নয়া দিগন্ত

জনবল সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একমাত্র মৎস্যবীজ ও রেনু উৎপাদন খামার। দীর্ঘদিন ধরে এই সঙ্কট বিদ্যমান থাকলেও প্রশাসনিক কারণে এসব সমাধান হচ্ছে না। ফলে দিন দিন সমস্যা বাড়ছে।

বুড়িচং উপজেলা মৎস্যবীজ খামার। এখানে রেনু ও পোনা উৎপাদিত হয়। এখানে আটটি পুকুরসহ রয়েছে বড় একটি জলাশয়। হ্যাচারিতে উৎপাদন কার্যক্রম চললেও অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত। শ্রমিকদের শেডে খামার ব্যবস্থাপক অফিস কাম বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন। পাঁচ সদস্যের জনবল থাকার স্থলে এখানে রয়েছে খামার ব্যবস্থাপক এছাড়া হ্যাচারি অ্যাটেনডেন্ট ও অফিস সহকারী পদে আছেন তিনজন।

বিশাল সীমানা প্রাচীর ঘেরা খামারটির নিরাপত্তায় নেই কোনো নিরাপত্তা প্রহরী। হ্যাচারির বাইরে এখানকার পুকুরগুলোতে পোনা জাতীয় মাছ চাষ হয়। খামারের ১ ও ২ নম্বর পুকুরটি অনেকটা পরিত্যক্ত। খামারে প্রবেশ পথে দু’টিসহ বিভিন্ন স্থানজুড়ে রয়েছে এক ডজনের বেশী শুকিয়ে যাওয়া গাছ। দীর্ঘদিনে শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

১ নম্বর পুকুরের পশ্চিম পাড় ঘেঁষে থাকা একাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিতে। তার মাঝে হেলে পড়া দু’টি খুঁটি তার দিয়ে শুকনো গাছের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। খামারের চারপাশজুড়ে থাকা সীমানায় পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের অবাধে প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রতিনিয়ত মাদককারবারীরা খামারের বিভিন্ন পুকুরপাড়ে বসে নেশা করতে দেখা যায়।

খামার ব্যবস্থাপক শামছি আরা ফেরদৌসী জানান, বর্তমানে ময়লা, আবর্জনা ফেলানোসহ সীমানা প্রাচীর ফুটো করে একটি গ্যারেজ, একাধিক ভবন, ফ্ল্যাটের পানি খামারের ভিতর প্রবেশ করার কারণে পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবাদ করলেও ওই সব ভবন মালিক বা ভাড়াটিয়ারা এসব অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।

খামার ব্যবস্থাপক আরো জানান, সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে বর্তমানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণাধীন। সেখানে একটি ক্লিনিক চালুর কথা রয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে ক্লিনিকের বর্জ্যে পুকুরের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন খামার ব্যবস্থাপক।

তিনি জানান, লোকবলসহ অন্য সঙ্কট নিরসন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এই খামারে প্রায় ৩৩ কেজি রেনুসহ উৎপাদিত পোনা বিক্রি করে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।