ফেসবুক প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে এসে বিয়ে

চীনা ওই যুবকের নাম শি জিং ইউ, মুসলমান হওয়ার পর নাম রেখেছেন সোহান আহমেদ।

আ ফ ম নুরুল কাদের, কুষ্টিয়া

Location :

Kushtia
চীনা নাগরিক শি লিং জাং (সোহান হোসেন) ও বৃষ্টি খাতুন
চীনা নাগরিক শি লিং জাং (সোহান হোসেন) ও বৃষ্টি খাতুন |নয়া দিগন্ত

ফেসবুকে পরিচয় সূত্রে প্রেম আর সেই প্রেমের টানে চীনা নাগরিক চলে এলেন বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার শহরতলী খাজানগর এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে। আদালতের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করার পর সেই মেয়ের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ তিনি।

চীনা ওই যুবকের নাম শি জিং ইউ, মুসলমান হওয়ার পর নাম রেখেছেন সোহান আহমেদ।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে প্রেমিকা বৃষ্টি খাতুন (২৬) ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া আদালতে আসেন চীনা যুবক শি জিং ইউ। প্রেমিক যুবকের আদালত চত্বরে আসার খবরে সেখানে ভিড় করেন মানুষেরা। আদালত চত্বরে একজন আইনজীবীর চেম্বারে বসে এফিডেভিটের মাধ্যমে মুসলমান হওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন চীনা নাগরিক। প্রেমিকার বাড়িতে ফিরে রাতেই তাদের বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানা যায়।

প্রেমিক সোহান আহমেদ (২৮) চায়নার হেনান এলাকার শি লিং জাং ও জুয়ে চুন সুই দম্পতির ছেলে।

শনিবার রাত ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শি জিং ইউ। রোববার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগরে প্রেমিকা বৃষ্টির বাড়িতে পৌঁছান তিনি।

প্রেমিকা বৃষ্টি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর উত্তরপাড়ার মোতালেব মিস্ত্রির মেয়ে। বৃষ্টির বাবা কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন বোন ও এক ভাই। বৃষ্টি কয়েক বছর আগে কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন।

স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় চীনা যুবকের। এরপর দুজন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ভাষা বুঝতে না পারলেও মোবাইলে অ্যাপস ব্যবহার করে কথা বলে নিজেদের মধ্যে ভাব আদান-প্রদান করতেন তারা।

বৃষ্টি খাতুনের বড় দুলাভাই এনামুল হক বলেন, ‘চীনা যুবক কুষ্টিয়া আদালতে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়েছেন। সেখান থেকে ফিরেই ধর্মীয় বিধানমতে তাদের বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’