মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত দুলালকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে জামায়াত নেতা।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কাশিমপুর ইউনিয়নের ঝনকা খাইরারপাড় এলাকায় দুলালের বোনের বাড়ি থেকে তাকে ধরে ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা।
দুলালকে ধরে তারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে মুক্তাগাছা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। থানা পুলিশ নিমুরিয়া এলাকার বরিল বিলের ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছলে দুলালকে সেখানেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে জমায়াত নেতা নজরুল ইসলাম। পরে থানা পুলিশ দুলালকে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বশুর বাড়িতে ঈদের দিন বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ৯বছর বয়সী এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণ করে মো: দুলাল। ওই শিশু মহিষতারা আহাম্মদিয়া এতিমখানা মাদরাসার নূরানী বিভাগের ছাত্রী। গত মঙ্গলবার পুলিশ আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। পরে জনতা আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতাকারী আব্দুল মজিদকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মজিদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এলাকাবাসী জানায়, এ ধরণের অপরাধীর ঠিকানা আমাদের এলাকায় হবে না। এ কারণেই এলাকাবাসী তাদের বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমারা তার ফাঁসি দাবি করছি।
কাশিমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, আমরা গোপনসূত্রে ঝনকা খাইরারপাড় এলাকায় দুলালের বোনের বাড়ি থেকে দুলালকে ধরি। পরে পুলিশে খবর দিয়ে আসামিকে নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমরা নিমুরিয়া এলাকার বরিল বিলের ব্রিজ পর্যন্ত গেলে সেখানে থেকে পুলিশ দুলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘এলাকায় কোন অপরাধীর ঠাঁই হবে না। যেই অন্যায় করবে তাকেই আইনে সোপর্দ করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সাথে জড়িত দুলাল উদ্দিনকে অনেক চেষ্টার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচাতে গোপনীয়তার সাথে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আসামিকে না পেয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী তার বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’