কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট ইউনিয়নের কানাইল নদীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার বাঁশ ও অবৈধ ঘন জালের বেড়া অপসারণ করা হয়েছে। ফলে দ্রুত নামছে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি।
দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁশের এবং অবৈধ ঘন জালের বেড়া দিয়ে মাছ ধরায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কানাইল নদী ডাকাতিয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। নদীর ছাতিয়ানী এলাকায় কয়েকটি স্থানে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বাঁশ ও অবৈধ ঘন জালের বেড়া দিয়ে মাছ ধরে আসছিল। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভারতের উজানের পানি নিষ্কাশন না হয়ে জমে সিংরাইশ, খিরনশাল, যাত্রাপুর, দেড়কোটা, ফেলনা ও ছাতিয়ানী গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেনের উপস্থিতিতে মুন্সিরহাট ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইনের উদ্যোগে অবৈধ বেড়া অপসারণ করা হয়। মুহূর্তেই পুরো এলাকার পানি দ্রুতগতিতে নামতে শুরু করে। এতে খুশি এলাকার সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: এমদাদ উল্যাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান, ইউপি মেম্বার মহিন উদ্দিন, ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া, যুব নেতা হাফেজ মর্তুজা মজুমদার, আবু মুসাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় নদী-খাল দখলমুক্ত রাখতে পুরো উপজেলায় অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার কানালী গাঙের কয়েকটি স্থানে অবৈধ বাঁশের বেড়া অপসারণ করা হয়। খালে পানি নিষ্কাশনে কাউকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।’