সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক শিশুকে (১১) সন্ধ্যার সময় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনৈক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভিক্টিমের মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা (নম্বর-৪) দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর দেখা দিয়েছে।
ওই ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক সেলিম মিয়াকে (৪৫) মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়াসপুর-রুইগড় এলাকার রানাপিং শাহী ঈদগাহ এর পাশে ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রেফতার অভিযুক্ত সেলিম মিয়া উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুইগড় (হাজারীবাড়ী) গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে এবং মামলার অপর আসামি একই থানার দখারপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে এহসান আহমদ।
মামলার বিবরণে ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার থেকে চা পাতা ও দুধ ক্রয় করার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুকে বাজারে পাঠান। শিশুটি বাজার থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে এলাকার পাশের রানাপিং বাজারের শাহী ঈদগাহের পাশে রাস্তার ওপর শিশুর পরনের জুতা ও চা-পাতা এবং দুধ খুঁজে পান। এতে করে শিশুটির পরিবারের লোকজনের সন্দেহ দেখা দেয়। তাকে আত্মীয় স্বজন, আশেপাশের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই রাত অর্থাৎ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুমান ৩টার দিকে শিশুটিকে বসত বাড়ির গেইটের ভেতরে পরণের পায়জামায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটিকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
শিশুটি জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকদের জানায়, সে বাজার থেকে দুধ ও চা পাতা ক্রয় করে বাড়িতে ফেরার সময় গোয়াসপুর-রুইগড় রানাপিং শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা থেকে এহসান আহমদ ও সেলিম মিয়া তার মুখ চেপে ধরে লাইটেস গাড়িতে তুলে নিয়ে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এহসান আহমদের সহযোগিতায় সেলিম মিয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযুক্ত সেলিম মিয়া ও তার সহযোগী এহসান আহমদসহ দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/(৯)/৩০ ধারায় মামলা নম্বর ৪ দায়ের করেছেন। তারিখ-০৯-০৯-২০২৫ইং। ওই ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শিশু ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।