আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

শিশুটিকে কেন ২-৩ ঘণ্টা অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রশ্নই আসে না। একটা মৃতকে তো আর ওয়ার্ডে রাখা যায় না। তাই মারা গেলে যেখানে লাশ রাখা হয় সেখানেই রাখা হয়েছিল।

তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)

Location :

Dhaka
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ |ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকার আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা এবং নার্সদের অবহেলার কারণে মিনহাজ নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি- গলায় খাবার আটকে তার মৃত্যু হতে পারে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক মো: হাবীবুর রহমান।

শিশু মিনহাজ আশুলিয়ার জামগড়া কাঠালতলা এলাকার মো: নুরুল ইসলামের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হালকা জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই শিশুকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটিকে একটা ইনজেকশন পুশ করা হয়। ইনজেকশন পুশ করানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে একটা ইনজেকশন দেয়ার পরই তার শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। আমি নার্সদের ডাকলেও তারা সময়মতো আসেনি। একপর্যায়ে তারা বলে, ‘কিছু না, ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার ছেলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর প্রায় কয়েক ঘণ্টা আমার বাচ্চা কোথায় আছে তাও বলেনি, পরে খুঁজে বের করে দেখি বাচ্চা মৃত।

পরিবারের দাবি, ইনজেকশন দেয়ার আগে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

শিশুটির চাচা বাঁধন ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে তার ভাতিজা মিনহাজকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাণীশৈংকল নিয়ে যাচ্ছি। সেখানেই দাফন করা হবে। বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক হাবীবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, শিশুটিকে সকাল ৯টার দিকে আনা হয়। পরে এখানে চিকিৎসা দেয়ার পর ভালোর দিকেই ছিল। সম্ভবত শিশুটিকে কোনো খাবার খাওয়ানো হয়েছিল যা খাদ্যনালীতে আটকে যায় এবং পরে তার মৃত্যু হয়।

শিশুটিকে কেন ২-৩ ঘণ্টা অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রশ্নই আসে না। একটা মৃতকে তো আর ওয়ার্ডে রাখা যায় না। তাই মারা গেলে যেখানে লাশ রাখা হয় সেখানেই রাখা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আব্দুল হান্নানের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।