রামগঞ্জে শ্মশান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলায় আহত সঞ্জয় দে মারা যাওয়ার পর রোববার রাতে মৃতের স্বজনরা তড়িঘড়ি করে লাশ দাহের চেষ্টা করলে পুলিশ শ্মশান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা

Location :

Ramganj
সঞ্জয় দে
সঞ্জয় দে |সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পাঁচ নম্বর চণ্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহপুর রমেশ কবিরাজ বাড়ির একটি শ্মশান থেকে সঞ্জয় দে (৪৫) নামের হিন্দু ধর্মের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলায় আহত সঞ্জয় দে মারা যাওয়ার পর রোববার রাতে মৃতের স্বজনরা তড়িঘড়ি করে লাশ দাহের চেষ্টা করলে পুলিশ শ্মশান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

সঞ্জয় দে চণ্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহপুর রমেশ কবিরাজ বাড়ির মৃত অরুণ চন্দ্র দে’র ছেলে এবং চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সহকারী ছিলেন।

সঞ্জয়ের স্ত্রী শান্তনা রানী দে জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে গত ২৮ জুলাই তার স্বামীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।

‘দুই/তিন দিন আগে আমার স্বামী বাড়ি ফিরলেও গতকাল রোববার রাতে তিনি মারা যান,’ বলেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে গত একযুগ সঞ্জয়ের অত্যাচারে কেউ বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। জমি দখল, ভূমিদস্যুতাসহ চাঁদাবাজির বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ২৮ জুলাই এলাকাবাসী তার অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পেতে গণপিটুনি দিলে সঞ্জয় মারাত্মক আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে গত দুই/তিন দিন আগে তাকে বাড়িতে আনার পর রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবদুল বারী জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিপন দে, রাজন দে, স্বপন কুমার দে, শকংর দে, সুজন দে ও স্থানীয় চৌকিদার মো: রাসেল নামের ছয়জনকে আটক করা হয়।’