খাগড়াছড়িতে সোহেল হত্যার প্রধান আসামিসহ সাতজন আটক

থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদরাসাছাত্র সোহেল অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় মংসানু মারমা।

মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি (খাগড়াছড়ি)

Location :

Khagrachhari
সাতজন আসামির ছবি
সাতজন আসামির ছবি |নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়িতে মানিকছড়ি উপজেলার সপ্তম শ্রেণির মাদরাসাছাত্র মো: সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার প্রধান আসামি মংসানু মারমাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলার গহিন অরণ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে মংসানু মারমাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাতে উপজেলার ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মো: সোহেল নামের এক মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ হয়। এরপর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অপহৃত সোহেলকে মুক্তির শর্তে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবেশী কয়েকজনকে সন্দেহ করে গত ১১ জুলাই থানায় মামলা করে সোহেলের পরিবার। মামলার পর পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো: মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো: ইয়াছিন মিয়াকে (২৮) আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই উপজেলার বুদংপাড়া নামার পাড়ার গহিন অরণ্যের একটি ঝিরি থেকে অপহৃত সোহেল এর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এরপর আরো দু’জনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল পরিকল্পনাকারী। শনিবার সকালে উপজেলার গহিন অরণ্যে থেকে মংসানু মারমা এবং আরেক অভিযানে বাবু মারমাকে আটক করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী। পরে তাদের থানায় সোপর্দ করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদরাসাছাত্র সোহেল অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় মংসানু মারমা।

মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, মাদরাসাছাত্র সোহেল অপহরণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত মূল পরিকল্পনাকারী জনপদের আতঙ্ক সশস্ত্র সন্ত্রাসী মংসানু মারমাসহ সাতজনকে যৌথবাহিনীর অভিযানে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আটকদের রোববার সকালে খাগড়াছড়ি আদালতে পাঠানো হয়।