ব্রাহ্মণবাড়িয়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দফায় গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদ্দাম একই এলাকার মো: মস্তু মিয়ার ছেলে এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লায়ন শাকিল গ্রুপের হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার অনুসারীরা সাদ্দামকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর খবর আসে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে দিলীপ গ্রুপই পরিকল্পিতভাবে সাদ্দামকে হত্যা করেছে। নিহতের মা খোদেজা বেগম ও বাবা মোস্তফা কামাল দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সাদ্দামকে ডেকে নেইনি। সে আমার সাথেই ছিল। রাতে লায়ন শাকিল আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কান্দিপাড়ার দু’গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড এলাকায় পূর্ববিরোধের জেরে লায়ন শাকিল গ্রুপ দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের ওপর গুলি চালালে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। নিহত সাদ্দাম দিলীপ গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।



