চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

গত ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

Location :

Cumilla
নিহত আবু বক্কর আসিফ
নিহত আবু বক্কর আসিফ |নয়া দিগন্ত

স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে আবু বক্কর প্রকাশ আসিফ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আসিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মরহুম ফটিক মিয়ার ছেলে।

গত ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত আসিফের পরিবারের দাবি, স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সুইটির (১৯) সাবেক প্রেমিক রাব্বি প্রকাশ বাপ্পি নামে এক যুবক তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে।

নিহত আসিফের ছোট ভাই আরাফাত হোসেন জানান, তার ভাই আসিফ দীর্ঘ বছর সৌদিআরবে ছিলেন। দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। তিনি গত ২৭ অক্টোবর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুইটিকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। গত ৮ নভেম্বর দুপুরে তিনি নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। একই দিন সন্ধ্যায় শ্যালক শান্তসহ আসিফ অলির বাজারে ঘুরতে যান। কিছুক্ষণ পর তারা হেঁটে আবদুল্লাহপুরে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রয়ানা হন। পথে আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাদিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে পৌঁছলে ওৎ পেতে থাকা বাপ্পি ও পারভেজ নামে দুই যুবক আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেয়া হলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আমরা পরে জানতে পারি, বাপ্পি নামের এক যুবকের সাথে আসিফের স্ত্রী সুইটির বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তার স্ত্রীও জড়িত রয়েছে।

আরাফাত আরো অভিযোগ করেন, ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ভাবি সুইটি সদর দক্ষিণ থানায় ছুরিকাঘাতের একটি মামলা দায়ের করেন। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই। এ ঘটনায় আমরা আদালতে ভাবিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করবো।

অভিযোগ সম্পর্কে সুইটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিয়ের আগে আমার মেয়ের সাথে কারো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়ে মোবাইলও ব্যবহার করতো না। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম আসিফের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। স্ত্রী সুইটি তার স্বামী আসিফ হত্যার সাথে জড়িত এমন অভিযোগ সম্পর্কে ওসি বলেন, এ ধরনের কোনা অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।