আত্রাই নদের পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ৫০০ পরিবার

এছাড়া নদে পানি বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা (নওগাঁ)

Location :

Naogaon
বিপদসীমার অনেক ওপরে আত্রাই নদের পানি
বিপদসীমার অনেক ওপরে আত্রাই নদের পানি |নয়া দিগন্ত

নওগাঁর মান্দায় টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে আত্রাই নদের পানি। সর্বশেষ বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদের পানি। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন আশপাশের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার। এছাড়া নদে পানি বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বেলা ৩টায় নদের জোতবাজার পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ মিটার।

জানা যায়, নদের তীরবর্তী চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, পারনুরুল্লাবাদ গ্রামে পুরাতন দুটি ভাঙাস্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে নিখিড়াপাড়া, বাকশাবাড়ী ও ঠনঠনিয়াপাড়া এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজিসহ নানা ফসলি জমি।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদের পানি ১০০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। শুক্রবার জোতবাজার পয়েন্টে নদের পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু’দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, নদের উভয়তীরের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে দ্বারিয়াপুর ও জোকাহাট এলাকায় বেড়িবাঁধে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাঁধে লিকেজ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে এসব পয়েন্ট রক্ষায় বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলাসহ অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্ণীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ আরও অন্তত ২০টি পয়েন্টকে রাখা হয়েছে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায়।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘নদের পানি বৃদ্ধির ফলে কয়েকটি বাঁধে লিকেজ দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বৃদ্ধি করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’