ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউকে হাজী আলম মিয়া (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফান্দাউক ইউনিয়নের মুন্সি পাড়ার নিজ ঘর থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আলম মিয়া ওই গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে এবং ফান্দাউক বাজারের ব্যবসায়ী।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দু’ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আলম মিয়া হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের আমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেয়া নিয়ে দাম্পত্য জীবনে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকায় কিছু দিন আগে আমেনা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনায় আলম মিয়া আদালতে মামলা করেছিলেন।
চার দিন আগে আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় মীমাংসা হলে তারা আবার একসাথে বসবাস শুরু করেন। এর পরপরই ঘটে হত্যার এই ঘটনা।
নিহতের বড় বোন আউলিয়া বেগম জানান, বুধবার সকালে আলম মিয়া ঘুম থেকে না উঠায় সন্দেহ হয়। দুপুরে ঘরের পেছনে গিয়ে দেখেন টিনের চালা ভাঙা। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আজহার ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’