সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই ‘জনশত্রু’ বানানো হয়েছিল : মাহমুদুর রহমান

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ ছিল প্রধান হাতিয়ার। এ ফ্যাসিবাদে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই জনশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যা ছিল ইতিহাসে বিরল।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
বক্তব্য রাখেন ড. মাহমুদুর রহমান
বক্তব্য রাখেন ড. মাহমুদুর রহমান |নয়া দিগন্ত

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ ছিল প্রধান হাতিয়ার। এ ফ্যাসিবাদে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই জনশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যা ছিল ইতিহাসে বিরল।’

রোববার (৩ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘শাপলা থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে মানুষ হত্যা করে জনশত্রু নির্মাণের বয়ান প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে জামায়াত-শিবির কর্মী, পরে হেফাজতের অনুসারীদের ‘যুদ্ধাপরাধী’, ‘উগ্রবাদী’ ও ‘মৌলবাদী’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়নের বৈধতা দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ছিল বিচারে বৈধতা দেয়া শাসনব্যবস্থা। শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না— এমন রায় এসেছে আদালত থেকেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে উচ্ছেদ এসব করা হয়েছে বিচার বিভাগের সহায়তায়।’

রোজ গার্ডেন ভবনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩৩১ কোটি টাকা দিয়ে কেনা ভবন ১ টাকায় আওয়ামী লীগের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে। এটি সরাসরি জনগণের অর্থ লোপাটের একটি দৃষ্টান্ত।’

অবৈধ সম্পদ ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে শর্টটার্ম লোন শোধ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য আংশিকভাবে ফিরেছে, যা দুর্নীতিবিহীন প্রশাসনেরই প্রমাণ।’

সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে সভার আলোচনায় অংশ নেন লেখক ও শিক্ষক সফিক ইসলাম, চিন্তাবিদ জগলুল আসাদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান প্রধান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী মো: ইউনুছ।

এদিকে আলোচনা সভার আগে ড. মাহমুদুর রহমান কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।