ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে সোনাগাজীর তিন সাংবাদিকসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ এনায়েত উল্যাহ নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি।
এনায়েত উল্যাহ সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন মিয়াজি, দৈনিক দেশ রূপান্তর ও ইউএনবির প্রতিনিধি সাংবাদিক শফি উল্লাহ রিপন, দৈনিক ফেনীর সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন ডন চৌধুরী ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক সাহেদ সাব্বির।
মামলার আবেদন উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আসামিদের নির্দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুলি চালায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে বাদিসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন এবং নয়জন নিহত ও দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেয়া হয়েছে।
পেশায় শ্রমিক হওয়ায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়া ও পরিবারের খরচ বহনসহ নানা কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক শফি উল্যাহ রিপন ও সাহেদ সাব্বির বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদেরকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’