সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গত কয়েক দিন ধরে মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় টানা পাঁচ দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এদিকে টানা বর্ষণে পটুয়াখালী শহরসহ আশপাশের গ্রামীণ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক এলাকার বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া, বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমন ক্ষেত ও শাকসবজির জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসল নষ্ট হয়ে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।
অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টি আরো বাড়তে পারে।