সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে হুমকিতে উঠান মাঝির ঘাট দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ

সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে কবরস্থানের কিছু অংশ সাগরের বিলিন হয়ে এখন জামে মসজিদটিও হুমকিতে পড়ছে।

এস এম রহমান, পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)

Location :

Patiya
উঠান মাঝির ঘাট জামে মসজিদ
উঠান মাঝির ঘাট জামে মসজিদ |নয়া দিগন্ত

সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ক্রমশ হুমকিতে পড়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সাগর উপকূলের দৃষ্টিনন্দন উঠান মাঝির ঘাট জামে মসজিদ ও কবরস্থান। বেড়িবাঁধের বাইরে হওয়ায় জোয়ারে সকাল-বিকেল মসজিদের কবরস্থানে সাগরের নোনা পানি প্রবেশ করছে এতে হুমকিতে পড়েছে দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদটিও।

একইস্থানে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে আটকে যাওয়া একটি বিশালাকারের বার্জ ও টাগবোট সরিয়ে নেয়া বা উদ্ধার হয়নি। ফলে আটকে থাকা বার্জ ও টাগবোটের সাথে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি ধাক্কা লেগে মসজিদ ও কবরস্থানে আঘাত হানছে। এ কারণে ওই এলাকার একমাত্র জামে মসজিদ ও কবরস্থানটি বর্তমানে ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে।

আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড উঠান মাঝিরঘাট এলাকায় এ মসজিদ ও কবরস্থান। দেখা গেছে, দৃষ্টিনন্দন উঠান মাঝিরঘাট জামে মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ দিয়ে সম্পূর্ণ সুক্ষার ব্যবস্থা করা হলে অস্বাভাবিক জোয়াররের জিও ব্যাগ টপকে এবং আটিকে থাকা বার্জ ও টাগবোটের কারণে সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে কবরস্থানের কিছু অংশ সাগরের বিলিন হয়ে এখন জামে মসজিদটিও হুমকিতে পড়ছে।

ওই মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফারুকী বলেন, শতবছর আগে স্থানীয় মানুষের দেয়া ৪০ গন্ডা জায়গার উপরে জামে মসজিদ ও কবরস্থান স্থাপন করা হয়। পরে স্থানীয় মরহুম হাফেজ সুর মোহাম্মদ মসজিদটি অর্ধবছর আগে সংস্কার করেন। কয়েক বছর আগে জামে মসজিদ সম্পূর্ণ সংস্কার করা হলে জামে মসজিদটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মো: রেজাউল করিম ফারুকী আরো বলেন, জরুরিভিত্তিতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ দিয়ে সুরক্ষা দেয়া না হলে এ এলাকার মসজিটি হারিয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ঈবনে সাহিদ বলেন, মসজিদটি বেড়িবাঁধের অনেক বাইরে। তারপরেও মসজিদটির সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সুব্যবস্থা করা হবে।