নাটোরের নলডাঙ্গায় সম্পত্তির লোভ ও পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জেমি খাতুন (১৯) নামে শিশুর ভাবিকে গ্রেফতার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের সাধনগর (উত্তরপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত শিশুটির বড় ভাইয়ের সাথে চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে হয় জেমি খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির সাথে, বিশেষ করে ভাসুরের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। একইসাথে শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তির ওপর তার লোভ ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির মা বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে ছেলের বউ জেমিকে অনুরোধ করেন- ‘ছেলেটাকে দেখে রেখো, কোনো যেন বিপদ না হয়।’ এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জেমি। শাশুড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর জেমি ঘরে থাকা ধারালো ব্লেড দিয়ে শিশুটির গলা ও গালে একাধিক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালান। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি চিৎকার করলে নিজ অপরাধ আড়াল করতে জেমি ঘরে থাকা বটি দিয়ে নিজের হাত, পায়ে আঘাত করেন। এরপর ‘নাটক’ সাজিয়ে চিৎকার করে জানান, মুখোশধারী দুই ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তার দেবরকে জখম করেছে এবং তাকেও আঘাত করতে চেয়েছিল।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার জেমি খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।



