দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ফু-ওয়াং ফুডসের শ্রমিকদের কর্মবিরতি

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি পালন করে। জয়দেবপুর থানাধীন হোতাপাড়া এলাকাস্থিত এ কারখানায় প্রায় ৬শ’ শ্রমিক কাজ করেন।

মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
কর্মবিরতির সময় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
কর্মবিরতির সময় শ্রমিকদের বিক্ষোভ |নয়া দিগন্ত

দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের ফু-ওয়াং ফুডস্ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কারখানা অভ্যন্তরে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি পালন করে। জয়দেবপুর থানাধীন হোতাপাড়া এলাকাস্থিত এ কারখানায় প্রায় ৬শ’ শ্রমিক কাজ করেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা গত ৮ এপ্রিল কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমির হোসেনকে লাঞ্চিত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারখানা কতৃপক্ষের সাথে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনায় চলতি মাসের ২০ তারিখে শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এবং আগামী ১০ মে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিকেরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।

এদিকে, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমির হোসেনকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ১৩ এপ্রিল ৭ শ্রমিক ও ৫ স্টাফকে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে নোটিশ প্রদান করে। মঙ্গলবার শ্রমিকেরা সকালে নোটিশ দেখে উত্তেজিত হয়ে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে এবং ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ তুলে নেয়ার দাবি জানায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানা অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন শুরু করে।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক মিয়া মামুন এবং পরিচালক আবু জাফরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জয়দেবপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আগামী ২১ এপ্রিল পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তারা মেনে নেয়নি। দাবি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতির আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়ে বিকেল ৫টায় কারখানা থেকে চলে যায়।