জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘দেবিদ্বারের আগামী নির্বাচন হবে হাসনাতের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কোনো কর্মী লাগবে না, অ্যাজেন্ট লাগবে না, কোনো টাকা-পয়সাও লাগবে না। কারণ প্রত্যেকটা ভোটারই আমার কর্মী হবে, নিজের অর্থে আমাকে সাহায্য করবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে ভোট চাইতে গেলে ভোটারদের টাকা দিতে হতো, আর এখন আমি ভোটের জন্য গেলে মায়েরাই আমাকে খাবার দেয়, পকেটে টাকা গুঁজে দেয়। এইটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।‘
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
পথসভায় হাসনাত বলেন, ‘নির্বাচনে আমি যদি মাত্র ১০টা ভোটও পাই, তবুও দেবিদ্বার ছেড়ে যাব না। আমার নির্বাচন তারাই করবে যারা রাস্তায় আলো জ্বালায় কিন্তু নিজের ঘরের কুপিতে তেল থাকে না, যারা মানুষের ভাত জোগায় কিন্তু নিজের হাড়িতে ভাত রান্নার চাল থাকে না। আমার নির্বাচন করবে চাওয়ালারা, রিকশাওয়ালারা, রাজমিস্ত্রিরা। জয়-পরাজয় যাই হোক, দেবিদ্বারের মানুষের সাথে থাকব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, দেবিদ্বারের গণজোয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদেরকে নিয়ে সংসদে যাব।‘
শ্রমজীবী মানুষের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যুগ যুগ ধরে এই দেশের নেতৃত্ব এসেছে খেটে খাওয়া মানুষের হাত ধরে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষদের অনেকেই মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয় না, ‘কামলা’ বলে অপমান করে। সেই অবহেলিত মানুষের সন্তান হিসেবেই আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।”
তিনি বলেন, ‘ভোট একদিনের। কিন্তু বিভেদ তৈরি হলে তা একসময় সহিংসতায় রূপ নেয়। তাই ভোট নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নারীদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি দেবিদ্বারের মায়েরা আমার জন্য তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করবে, রোজা রেখে ভোট দিতে যাবে। আমার জয়ের বার্তা দেবিদ্বারের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। কিছু রাজনীতিবিদ আছেন, প্রকাশ্যে কিছু বলেন না কিন্তু গোপনে আমাকেই সমর্থন করেন। সময় হলে সবাই রাজপথে নেমে আসবে।‘
তিনি আরো বলেন, ‘আমি জয় বা হার কিছুই দেখি না। মায়েদের দোয়া নিয়ে এগিয়ে চলাই আমার বড় পাওয়া।’
এর আগে, সকাল ৭টা থেকে বড়কামতা ও মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দিনব্যাপী গণসংযোগ করেন তিনি। ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, হাটবাজার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন তিনি।



