গাকৃবিতে শিক্ষা–শিখন পরিবেশ শক্তিশালীকরণে কর্মশালা

গাকৃবি কৃষি ও জৈবসম্পদ প্রকৌশল অনুষদে ‘কৃষি ও জৈবসম্পদ প্রকৌশল অনুষদে আজীবন-শেখন উন্নীতকরণে শিক্ষা-শিখন পরিবেশ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মো: আজিজুল হক, গাজীপুর মহানগর

Location :

Gazipur
গাকৃবিতে শিক্ষা–শিখন পরিবেশ শক্তিশালীকরণে কর্মশালা
গাকৃবিতে শিক্ষা–শিখন পরিবেশ শক্তিশালীকরণে কর্মশালা |নয়া দিগন্ত

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) কৃষি ও জৈবসম্পদ প্রকৌশল অনুষদে ‘কৃষি ও জৈবসম্পদ প্রকৌশল অনুষদে আজীবন-শেখন উন্নীতকরণে শিক্ষা-শিখন পরিবেশ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক প্রফেসর ড. মো: এমদাদুল হকের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় শিক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, গবেষণানির্ভর শিক্ষাক্রম, প্রযুক্তিনির্ভর শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োগমূলক শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) ও আউটকামভিত্তিক শিক্ষা (ওবিই) আরো শক্তিশালী করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- গাকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।

সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক এবং ইনচার্জ (ইউএটিএফএস) প্রফেসর ড. মো: আব্দুল বাছেত মিয়া।

গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম বোরহান উদ্দিন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এম জি মোস্তফা আমিন। কর্মশালায় শিক্ষক, গবেষক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন–পরিচালকসহ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো: এমদাদুল হক। তিনি ২১শ’ শতকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, লাইফ–লং লার্নিং ধারণা, কৃষি ও বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিবর্তিত চাহিদা এবং অনুষদের উন্নয়ন সম্ভাবনা তুলে ধরেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মতামত দেন।

প্রফেসর ড. এম বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এই উদ্যোগ কৃষি প্রকৌশল শিক্ষায় নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে এবং উচ্চশিক্ষায় আজীবন শিক্ষার পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।’

ভাইস চ্যান্সেলর তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজীবন শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া—নতুন জ্ঞান ও দক্ষতার সঙ্গে নিয়মিত সংযুক্ত থাকাই এর মূল শক্তি।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘নতুন পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সুবিধা ও ইন্ডাস্ট্রি সংযোগ আরো উন্নত করবে।’