‘নির্বাচনে জয়ী হলে কয়রা-পাইকগাছায় রেল সংযোগ স্থাপন করা হবে’ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বপ্নের কয়রা উপজেলা গড়ে তোলা হবে।’
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কয়রার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ ও বিকাল ৩টার দিকে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের পৃথক দুটি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘সুন্দরবন সংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এই জনপদ বারবার সিডর, আইলা, আম্ফান-এর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বারবার ক্ষমতার পালাবদল হলেও এলাকার মানুষের ভাগ্য বদল হয়নি। বিগত সরকারের আমলে তারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসে নিজেদের আখের গুছিয়ে মালয়েশিয়া ও কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। জনগণের কল্যাণে কোন কাজ তারা করেনি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে একটি আধুনিক, উন্নত এবং সমৃদ্ধ কয়রা গড়ার কাজে আমরা আত্মনিয়োগ করব।’
বাগালী ইউনিয়ন আমির হাফেজ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও মহারাজপুর ইউনিয়ন আমির মাস্টার সাইফুল্লাহ হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘১৯৯১ও ২০০১ সালে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বিপুল সংখ্যক ভোটে জনগণের রায় নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার হাত ধরে এই কয়রা-পাইকগাছায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোন দূর্নীতি তার হাতে হয়নি।আমি কথা দিচ্ছি নির্বাচিত হলে একটি টাকার দুর্নীতি হবে না। জনগণের আমানত রক্ষা করাই হবে মূল লক্ষ্য। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধের পাশাপাশি সকল মাটির কাঁচা রাস্তাকে পাকা ইটের রাস্তায় পরিনত করা হবে। সদরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে, প্রতিটি ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে ক্লিনিক তৈরি করা হবে, যাতায়াতের সুবিধার্থে রেললাইন তৈরি করা হবে।’
সেক্রেটারি প্রভাষক শরিফুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, জেলা সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কয়রা উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি অয়েজকুরুনী।



