ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০-এর প্রস্তাাবিত সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এহেন অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের কারণে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিম, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহীম ও মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোরশোদা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৩ জুন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০ সংশোধন করে জাতি বৈচিত্র্য ইনিস্টিটিউট করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী এবং দূরভিসন্ধিমূলক। আর এ ধরনের আইন সংশোধনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে একচেটিয়া গোষ্ঠীকে প্রাধান্য নিশ্চিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা পার্বত্যাঞ্চলে বাঙালি সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাবে এবং এসব বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে জাতিগত রাজনীতি উস্কে দিতে পারে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের এহেন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জোর প্রতিবাদসহ আইন সংশোধন, সিদ্ধান্ত বাতিলে সরকারপ্রধানের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।