‘বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাসী, কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয়’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সংস্কারের ধোয়া তুলে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা যাবে না।
চব্বিশের গণআন্দোলনকালে শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে শহীদদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে শিবপুর উপজেলা ইটাখোলা চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইউনূস সাহেব আপনি বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিত নির্বাচন হবে। আপনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করেন। নির্বাচন করতে বাধা এলে বিএনপি আপনার পাশে থাকবে। আমরা ১৭ বছর ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য একটাই ছিল— জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা। ভোটের অধিকার মানে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা। যার যার ভোট সে দিবে। দিনের ভোট দিনে দিবে, রাতে দিবে না। ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সরকার গঠন করবে। একথা বলেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দেশ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি। যুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, ধর্ষণ করেছে, তাদের আমরা ভুলে যাইনি। সংস্কার বিএনপিই চায়। সংস্কারের ধোয়া তুলে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা যাবে না। বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাসী, কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডিবি হারুনের অফিসে যে সকল ছাত্র নির্যাতিত হয়েছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। জুলাই আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং যারা আহত হয়েছে তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিস রিকাবদার। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু ও শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ রিকাবদার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন শিবপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ সুমন মুন্সি।
উপস্থিত ছিলেন জুলাই ইটাখোলা ট্রাজেডিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।